কলাম

বালু লুটকারীদের হাত থেকে নদীগুলো কি রক্ষা পাবে

নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদ-নদী নিয়ে বহু লোককথা-রূপকথা ও বিশ্বাসের গদ্যের সন্ধান মিলে লোকসাহিত্যে। আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে নানাভাবে জড়িয়ে আছে নদী। কিন্তু যুগে যুগে দুই পাড়ের জনজীবনকে প্রভাবিত করে আসা উপকারী নদীগুলোকে কি আমরা বাঁচাতে পেরেছি?

আমার নিজের বেড়ে ওঠার সঙ্গেও জড়িয়ে আছে নদীর স্মৃতি। নদীর জলে সাঁতার কাটা, নৌকা বাওয়া, ডিগবাজি খেয়ে পড়ার আনন্দটা কৈশোর জীবনে অন্যরকম ছিল। বিকেলবেলা নদীর পাড়ে আড্ডা, পাল তোলা বিশাল সব নৌকা দেখা, নদীর ধারে বসে মুগ্ধ হয়ে সূর্যাস্ত দেখা, ঢেউগুলো তীরে আছড়ে পড়ার শব্দ কি যে ভালো লাগত! কিন্তু এখন কি নদীগুলো সে রকম আছে?

নদীর এপাড়-ওপাড় কিছুই দেখা যেত না আগে। এখন নদীগুলোর মাঝখানে চর পড়েছে। সরু হয়ে যাচ্ছে নদীপথ। ফলে আগের রূপটি হারিয়ে অধিকাংশ নদীই আজ মৃতপ্রায়। একসময় নদীতে ভট ভট আওয়াজ ছিল না। এখন নৌকাগুলোতে লেগেছে ইঞ্জিন। ফলে নিঃশব্দে নদী দেখার আনন্দটা তেমন মেলে না। নদীপাড়ের মানুষ মাছ ধরত জাল দিয়ে। কারেন্ট ও চায়না জালের কারণে এখন নদীর কিছুই বাদ পড়ে না। সব ধরনের জলজ প্রাণী আর উদ্ভিদও উঠে আসে জালে।

প্লাস্টিক সামগ্রীর ব্যবহারও বেড়েছে বহু গুণ। আগে জালে গোল মাটির চাকা ব্যবহার করা হতো। সেখানে এখন প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার করা হচ্ছে। লঞ্চ, ফেরি ও নৌকার শিক্ষিত বা নিরক্ষর সব যাত্রীই হাতের কাছের পলিথিন, কাগজ, কাপড় যাই হোক তা-ই নদীতে ফেলেন। যেন এটি তার অধিকার! এসব কারণে দূষিত হয়ে পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে নদীর ইকোসিস্টেম।

দেশের পানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকার আশপাশের নদীগুলোর দূষণের মূল উৎস শিল্পবর্জ্য। প্রতিদিন রাজধানীতে ১৫ লাখ ঘনমিটার পয়ঃবর্জ্য তৈরি হয়। এর মধ্যে ১৪ লাখ ঘনমিটারই অপরিশোধিত অবস্থায় ঢাকার চারপাশের নদনদীগুলোতে গিয়ে মেশে

দেশের পানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকার আশপাশের নদীগুলোর দূষণের মূল উৎস শিল্পবর্জ্য। প্রতিদিন রাজধানীতে ১৫ লাখ ঘনমিটার পয়ঃবর্জ্য তৈরি হয়। এর মধ্যে ১৪ লাখ ঘনমিটারই অপরিশোধিত অবস্থায় ঢাকার চারপাশের নদ-নদীগুলোতে গিয়ে মেশে। শিল্পকারখানার বেপরোয়া দখল, দূষণ ও ভরাটের ফলে শীতলক্ষ্যা নদীর অস্তিত্ব এখন হুমকির সম্মুখীন।

কয়েক বছর আগে নদী নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালত এক রায়ে বলেছে, ‘‘মানুষের জীবন-জীবিকা নদীর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মানবজাতির টিকে থাকার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে নদী। নাব্য সংকট ও বেদখলের হাত থেকে নদী রক্ষা করা না গেলে বাংলাদেশ তথা মানবজাতি সংকটে পড়তে বাধ্য। নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের সরকার আইনপ্রণয়ন করে নদীকে বেদখলের হাত থেকে রক্ষার চেষ্টা করছে। এখন সবারই ভাবনা পরিবেশের জন্য নদীরক্ষা করা। যদি তা না করতে পারি, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’’

আবার জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের দেওয়া তথ্য বলছে, এদেশে নদ-নদীর সংখ্যা ৪০৬টির মতো। কিন্তু নদীগুলোর সংকটে পড়ার বড় কারণ এর দূষণ। পাশাপাশি বহু গুণে বেড়েছে নদীপাড়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও নদী দখলের দৌরাত্ম্য।

নদী কমিশনের দেওয়া তথ্য মতে, একটিও নদী দখলদারদের হাত থেকে রেহাই পায়নি। নদীর জায়গা দখল করে বাড়িঘর ও শিল্পকারখানা গড়ে তোলার পাশাপাশি দোকানপাট ও বাজার তোলা হয়েছে। ঘরবাড়ি করে স্থানীয়রাও নদী-খালের জমি অবৈধভাবে দখল করেছে। ফলে নদীদূষণসহ মূল নদীর প্রবাহ অত্যন্ত সংকুচিত হয়ে পড়ছে। এভাবেই হত্যা করা হচ্ছে নদীগুলোকে।

খেয়াল করা দরকার সব নদীকে ‘জীবন্ত সত্তা’ ঘোষণা দিয়ে নদ-নদীর সুরক্ষা ও সংরক্ষণে ‘জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন’কে ‘আইনগত অভিভাবক’ উল্লেখ করে আদালত কয়েক বছর আগে এক যুগান্তকারী রায়ও দেয়। কিন্তু এই রায়ের বাস্তবায়ন ঘটেনি এখনও। বরং বালু উত্তোলনের নামে নদী হত্যা চলছেই।

অবৈধভাবে বালু উত্তোলন নদীকে ধ্বংস করারই নামান্তর। কিন্তু এটা রাতারাতি কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়ার সবচেয়ে লোভনীয় পথগুলোর একটি। এ কারণেই যে কোনও রাজনৈতিক সরকারের আমলেই নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন থেমে থাকেনি। বরং এ কাজে সবসময় যুক্ত ছিল সরকারের উচ্চমহলও।

আইন অমান্য করে দেশের বিভিন্ন নদী ও সমুদ্র উপকূল থেকে কীভাবে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করেছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা? এ নিয়ে গতবছর বেসরকারি সংস্থা রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টার এক সমীক্ষা প্রকাশ করে।

‘বাংলাদেশে বালু উত্তোলন মানচিত্র’ শিরোনামে ওই সমীক্ষায় বলা হয়েছে, নদী থেকে বালু উত্তোলনের জন্য সরকারিভাবে দেশের ৭০৭টি স্থান নির্ধারণ করা আছে। যার মধ্যে ৩৮২টি বালুমহাল বিভিন্ন ব্যক্তিকে ইজারাও প্রদান করা। এ ছাড়া বাংলাদেশের ৭৭টি নদীর ১৩২টি পয়েন্ট থেকে ২৬৫ ব্যক্তি অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন। যার মধ্যে অন্তত ৫৪ জন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। ১৩২টি অবৈধ বালু উত্তোলন কেন্দ্রের মধ্যে পদ্মায় ২০টি, যমুনায় ১৩টি, মেঘনায় ১২টি, ব্রহ্মপুত্রে ছয়টি, সুরমা ও পিয়াইন নদীতে পাঁচটি, তিস্তায় চারটি, সাঙ্গুতে তিনটি এবং ইছামতিতে তিনটি কেন্দ্র রয়েছে। বাকিগুলো দেশের অন্যান্য নদীতে অবস্থিত।

অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের ঠেকাতে প্রশাসনও অনেক সময় অসহায় হয়ে পড়ে। তবে এটাও ঠিক প্রশাসনের একটি চক্র মোটা অংকের মাসোহারার বিনিময়ে বালু উত্তোলনে সহযোগিতাও করে। এর ব্যতিক্রম থাকলেও তাদের পক্ষে টিকে থাকা প্রায় কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি, সদর ও ভূঞাপুর উপজেলায় যমুনা এবং এর শাখা নদীগুলো থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দৌরাত্ম্য চলে সীমাহীন। কয়েক বছর আগে কালিহাতি উপজেলায় এক নারী ইউএনওর সাহসিকতার কথাও আমাদের জানা। ওই সময় বালুখোরদের দৌরাত্ম্য তিনি বন্ধ করেছিলেন কঠোর হাতে। প্রভাবশালীদের কোটি টাকার প্রলোভনও তাকে সরকারি দায়িত্ব পালনে টলাতে পারেনি। জেলা প্রশাসকও শক্তি নিয়ে তার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।

কালিহাতির তৎকালীন সরকারদলীয় সংসদ সদস্যও যুক্ত ছিলেন বালুখেকোদের একটি অংশের সঙ্গে। ফলে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করতে দেওয়ার অনুরোধ না রাখায় ওই ইউএনওকে তিনি নানাভাবে হেনস্থা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তার সততার সঙ্গে পেরে ওঠেন না। বরং ওই ইউএনও নদী থেকে অবৈধভাবে উত্তোলিত বালু জব্দ করে সরকারি নিয়মে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করার উদ্যোগ নেন। এভাবে প্রায় আট কোটি টাকা তিনি সরকারি তহবিলে জমা প্রদান করেছিলেন। যা বালু উত্তোলনকারীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে।

এমন সাহসী কাজের জন্য ওই ইউএনও কিন্তু পুরস্কৃত হননি। বরং কয়েক মাসের মধ্যেই তাকে বদলি করে দেওয়া হয়। শোনা যায় তৎকালীন মন্ত্রী পরিষদ সচিবের নির্দেশেই বদলি করা হয়েছিল তাকে। এটি গোটা দেশেরই একটি চিত্র বহন করে। আর এ ঘটনা শুধু অবৈধ বালু উত্তোলনকে উৎসাহিতই করেনি বরং প্রশাসনের কোনও অফিসার যেন ওদের বিরুদ্ধে কঠোর না হন সেই বার্তাও দেওয়া হয়েছিল। যা মোটেই কাম্য ছিল না।

তবে প্রশাসনে এমন ঘটনা এখনও চলমান রয়েছে। অতি সম্প্রতি (২২ আগস্ট) কালিহাতিতেই ধলা টেঙ্গর ভাবলায় নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এক ব্যক্তিকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করেন। এর কয়েক ঘণ্টার ভেতরই ওই ইউএনওকে বদলি করা হয়। ফলে ছাত্র-তরুণ-যুবসহ সাধারণ মানুষের মধ্যেও এ নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সবাই প্রকাশ্যেই প্রশ্ন তোলে— প্রশাসনের চেয়ে অবৈধ বালুউত্তোলনকারীরাই কি শক্তিশালী এদেশে? পরে এর প্রতিবাদে কালিহাতিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা মানববন্ধন, মিছিল ও বিক্ষোভ করে। ফলে ওই ইউএনওর বদলির আদেশটি প্রশাসন স্থগিত করতে বাধ্য হয়।

এমন ঘটনা এটা স্পষ্ট করে যে বর্তমান প্রজন্ম যেমন অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে পারে পাশাপাশি তারাও চায় নদী তার ‘জীবন্ত সত্তা’ নিয়েই বেঁচে থাকুক। হয়ত তরুণ প্রজন্মের এ মনোভাব বেশ ভালোভাবেই উপলদ্ধি করতে পেরেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

পরিবেশ নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করা এই উপদেষ্টা সম্প্রতি গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘এ প্রজন্মের যারা বৈষম্যহীন ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে নতুন সরকার এনেছে তারা দূষণহীন নদী আসলে দেখেনি। তাদেরকে একটা দূষণহীন নদী দেখাতে চাই।’’

তবে প্রশাসনে এমন ঘটনা এখনও চলমান রয়েছে। অতি সম্প্রতি (২২ আগস্ট) কালিহাতিতেই ধলা টেঙ্গর ভাবলায় নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এক ব্যক্তিকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করেন। এর কয়েক ঘণ্টার ভেতরই ওই ইউএনওকে বদলি করা হয়। ফলে ছাত্র-তরুণ-যুবসহ সাধারণ মানুষের মধ্যেও এ নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সবাই প্রকাশ্যেই প্রশ্ন তোলে— প্রশাসনের চেয়ে অবৈধ বালুউত্তোলনকারীরাই কি শক্তিশালী এদেশে? পরে এর প্রতিবাদে কালিহাতিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা মানববন্ধন, মিছিল ও বিক্ষোভ করে। ফলে ওই ইউএনওর বদলির আদেশটি প্রশাসন স্থগিত করতে বাধ্য হয়।

এমন ঘটনা এটা স্পষ্ট করে যে বর্তমান প্রজন্ম যেমন অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে পারে পাশাপাশি তারাও চায় নদী তার ‘জীবন্ত সত্তা’ নিয়েই বেঁচে থাকুক। হয়ত তরুণ প্রজন্মের এ মনোভাব বেশ ভালোভাবেই উপলদ্ধি করতে পেরেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

পরিবেশ নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করা এই উপদেষ্টা সম্প্রতি গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘এ প্রজন্মের যারা বৈষম্যহীন ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে নতুন সরকার এনেছে তারা দূষণহীন নদী আসলে দেখেনি। তাদেরকে একটা দূষণহীন নদী দেখাতে চাই।’’

এরই অংশ হিসেবে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান দেশের আট বিভাগে একটি করে নদী দখল ও দূষণমুক্ত করার পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি নদ-নদীকে দীর্ঘমেয়াদে দূষণমুক্ত রাখতে নদীপাড়ের মানুষ ও ছাত্রপ্রতিনিধিদের যুক্ত রাখার কথাও তুলে ধরেন তিনি। আমরা মনে করি এটিও ভালো উদ্যোগ। আর উদ্যোগ নিলে সকলে মিলেই এর বাস্তবায়ন করা সম্ভব।

আমরা চাই, সব উন্নয়ন হোক প্রকৃতি ও নদীর প্রবাহ ঠিক রেখে। দূষণমুক্ত হয়ে নদীগুলো জীবন্ত হোক। ফিরে আসুক নদীর প্রাণপ্রবাহ। তাহলেই আমরা আগামী প্রজন্মকে দূষণহীন নদী উপহার দিতে পারব। তাই নদী থেকে বালু লুটকারীদের বিরুদ্ধেও এ সরকার জিরো টলারেন্স দেখাবে— এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।

এরই অংশ হিসেবে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান দেশের আট বিভাগে একটি করে নদী দখল ও দূষণমুক্ত করার পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি নদ-নদীকে দীর্ঘমেয়াদে দূষণমুক্ত রাখতে নদীপাড়ের মানুষ ও ছাত্রপ্রতিনিধিদের যুক্ত রাখার কথাও তুলে ধরেন তিনি। আমরা মনে করি এটিও ভালো উদ্যোগ। আর উদ্যোগ নিলে সকলে মিলেই এর বাস্তবায়ন করা সম্ভব।

আমরা চাই, সব উন্নয়ন হোক প্রকৃতি ও নদীর প্রবাহ ঠিক রেখে। দূষণমুক্ত হয়ে নদীগুলো জীবন্ত হোক। ফিরে আসুক নদীর প্রাণপ্রবাহ। তাহলেই আমরা আগামী প্রজন্মকে দূষণহীন নদী উপহার দিতে পারব। তাই নদী থেকে বালু লুটকারীদের বিরুদ্ধেও এ সরকার জিরো টলারেন্স দেখাবে— এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।

লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে সকাল সন্ধ্যায়, প্রকাশকাল: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

© 2024, https:.

এই ওয়েবসাইটটি কপিরাইট আইনে নিবন্ধিত। নিবন্ধন নং: 14864-copr । সাইটটিতে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো তথ্য, সংবাদ, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Show More

Salek Khokon

সালেক খোকনের জন্ম ঢাকায়। পৈতৃক ভিটে ঢাকার বাড্ডা থানাধীন বড় বেরাইদে। কিন্তু তাঁর শৈশব ও কৈশোর কেটেছে ঢাকার কাফরুলে। ঢাকা শহরেই বেড়ে ওঠা, শিক্ষা ও কর্মজীবন। ম্যানেজমেন্টে স্নাতকোত্তর। ছোটবেলা থেকেই ঝোঁক সংস্কৃতির প্রতি। নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। যুক্ত ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও থিয়েটারের সঙ্গেও। তাঁর রচিত ‘যুদ্ধদিনের গদ্য ও প্রামাণ্য’ গ্রন্থটি ২০১৫ সালে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক মৌলিক গবেষণা গ্রন্থ হিসেবে ‘কালি ও কলম’পুরস্কার লাভ করে। মুক্তিযুদ্ধ, আদিবাসী ও ভ্রমণবিষয়ক লেখায় আগ্রহ বেশি। নিয়মিত লিখছেন দেশের প্রথম সারির দৈনিক, সাপ্তাহিক, ব্লগ এবং অনলাইন পত্রিকায়। লেখার পাশাপাশি আলোকচিত্রে নানা ঘটনা তুলে আনতে ‘পাঠশালা’ ও ‘কাউন্টার ফটো’ থেকে সমাপ্ত করেছেন ফটোগ্রাফির বিশেষ কোর্স। স্বপ্ন দেখেন মুক্তিযুদ্ধ, আদিবাসী এবং দেশের কৃষ্টি নিয়ে ভিন্ন ধরনের তথ্য ও গবেষণামূলক কাজ করার। সহধর্মিণী তানিয়া আক্তার মিমি এবং দুই মেয়ে পৃথা প্রণোদনা ও আদিবা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back to top button